বিশ্ব ব্যাংকের মতে, বায়ু, অনিরাপদ পানি, বাজে পয়ঃনিষ্কাশনের মতো দূষণের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে। পরিবেশগত অবক্ষয়ের কারণে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ১৭.৮% হ্রাস পাচ্ছে (বিশ্বব্যাংক, ২০১৯)। ইউনিসেফ এর মতে, বায়ু দূষণের কারণে ২০২১ সালেই প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে এবং গত ১০ বছরে এ হার বেড়েছে ৫৪%; পানি দূষণ ও স্যানিটেশনের অভাবে অকাল মৃত্যুর হার যথাক্রমে ২০% ও ২৬% বেড়েছে।
শুধু তাই নয়, গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স এর তথ্য মতে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে ২০১২- ২১ সময়কালে জিডিপি’র ক্ষতি প্রায় ১৭.৮%। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী গড় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির চেয়ে বাংলাদেশে বছরে দ্রুত এবং ৩.৪২ মিলিমিটার বেশি হারে বাড়ছে। বিশ্বব্যাংক থেকে প্রকাশিত ‘কান্ট্রি ক্লাইমেট ও ডেভেলপমেন্ট’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ক্ষতি হচ্ছে। যেভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এ ক্ষতি আরও বাড়তে পারে। গুরুতর বন্যার মুখে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ভিত্তিরেখার তুলনায় ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, বাংলাদেশ প্রায় ১০% আমন ধানের উৎপাদন হ্রাসের ঝুঁকির সম্ভাবনা আছে। এমনকি সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রেমাল ২০টি জেলায় ৩,৮৩,৮১৫ জন মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে, যার আর্থিক ক্ষতির মূল্যমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৭,০০০ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১৩.৩ মিলিয়ন লোক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভ্যন্তরীণ অভিবাসনে বাধ্য হতে পারে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এখনি সচেষ্ট না হলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।
এ প্রেক্ষিতে “টেকসই সমৃদ্ধি, সবুজ অর্থনীতি এবং ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটঃ প্রেক্ষিত জলবায়ু ও পরিবেশ, দুর্যোগ, খাদ্য নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি” বিষয়ে গত ২২ জুন ২০২৪ তারিখে মূল্যায়নপূর্বক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ।
Download Position Paper
Comments